বিশ্বব্যাপী জিয়া


×

imran hossain ontor

ডা. জুবায়েরকে আমি চিনতাম না। মেসেঞ্জারে শুধু হাই-হ্যালো করতো

ডা. জুবায়েরকে আমি চিনতাম না। মেসেঞ্জারে শুধু হাই-হ্যালো করতো। একদিন আমি এডিসি নাজমুল সম্পর্কে একটা পোস্ট করেছিলাম, যেখানে বলেছিলাম "তিনি বিরোধী দল-মতের উপর নিপীড়ন করছেন"।

সেই পোস্টের পর জুবায়ের আমাকে বললো, সেও নাজমুলের ভিক্টিম এবং তাকে হুমকি দেওয়া হয়েছে।
সে ১৭ সেকেন্ডের একটা ভিডিও পাঠালো, যা আমি মানবতার পক্ষে দাঁড়িয়ে প্রচার করলাম। অনেকেই আমার দেখাদেখি সেইটা শেয়ার করলো।

কিন্তু পরে যা জানতে পারলাম, তা ছিল স্তব্ধ করে দেওয়ার মতো। ডা. জুবায়ের গ্রেফতার হয়েছিল "নারীদের পর্ন ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়া এবং যৌন হয়রানি'র মতো জঘন্য অপরাধে" এবং সেই মামলার চারশিট হয়েছে যেখানে জোবায়ের এর ডিভাইসে নারীদের সেনসেটিভ কন্টেন্ট পাওয়া গিয়েছে।

এখন প্রশ্ন—এমন অপরাধ করে একজনকে পুলিশ গ্রেফতার করলে, সেটা কি রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র হয়ে যায়? নারীদের ব্যক্তিগত ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়া কিভাবে আওয়ামী লীগের ষড়যন্ত্র হয়?

জুবায়েরের বিরুদ্ধে না কোনো রাজনৈতিক মামলা হয়েছে, না নাশকতার মামলা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে হয়েছে নারী কেলেঙ্কারির মামলা।

এমন একজন অপরাধীর পক্ষে এখন দাঁড়ানো মানে নারীর নিরাপত্তাকে, ন্যায়ের পক্ষকে অপমান করা।

তার বিরুদ্ধে অভিযোগ শুধু একটিই নয়।

সিলেটে এক রোগীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ রয়েছে, নিজের স্ত্রীকে ডিভোর্স দিয়েছে, প্রেমিকার সেনসেটিভ ভিডিও ফাঁস করেছে, একসাথে ৪-৫ জন নারীর সাথে সম্পর্ক করেছে, অসংখ্য নারীকে হুমকি, গালাগালি ও মানসিক নির্যাতন করেছে।

এই-যে এতগুলো নারী যে কথা বলতেছে এ-সব কিছু মিথ্যা? সব কিছু আওয়ামিলীগের ষড়যন্ত্র? সবাই মিথ্যা বলছে আর সে সত্যি বলছে?

এডিসি নাজমুলের প্রতি আমাদের অনেকেরই ক্ষোভ আছে কারণ আমরা দেখেছি কীভাবে তিনি বিরোধী মত ও অ্যাকটিভিস্টদের উপর নিপীড়ন চালিয়েছেন।
আমরা অনেকেই সেই প্রতিবাদের অংশ ছিলাম। কেউ কেউ মামলা খেয়েছি, কেউ গ্রেফতার হয়েছি, কেউ পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন থেকেছি।
আমরা লড়েছি ন্যায়ের জন্য, মানুষের অধিকার রক্ষার জন্য।

কিন্তু সেই লড়াইকে সুযোগ হিসেবে ব্যবহার করে ডা. জুবায়েরের মতো একজন নারী নির্যাতক যেন পার না পেয়ে যায় এটাই আমাদের স্পষ্ট চাওয়া।

আমি আবারো বলছি এডিসি নাজমুলের বিরুদ্ধে আমাদের ক্ষোভ অটল আছে, কিন্তু সেই ক্ষোভকে ঢাল বানিয়ে জুবায়েরের মতো অপরাধীরা যেন রক্ষা না পায় এটাই আমাদের ন্যায্য অবস্থান। এই ধরনের একজন অপরাধী আমাদের ক্ষোভকে ব্যবহার করে যেন নিজেকে ‘রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের শিকার’ বলে চালিয়ে না দিতে পারে তার জন্য আমাদের সচেতন থাকতে হবে।

ডা. জুবায়ের শুধু অপরাধ করেনি, এখন সে নিজের ভিক্টিম নারীদের বিরুদ্ধেই মামলা করেছে। আর সেই মামলাকে সামনে রেখে মিডিয়ার মাধ্যমে তাদেরই হয়রানি করছে, অপমান করছে, সামাজিকভাবে হেয় করছে।

একজন পুরুষ, যে নারীদের সঙ্গে প্রতারণা করেছে, তাদের গোপন কনটেন্ট ফাঁস করেছে,
আজ সে নিজেই নিজেকে ‘ভিক্টিম’ সাজিয়ে আসল ভিক্টিমদের মুখ বন্ধ করতে চাইছে।

আমি একজন নারী। আর একজন নারী হিসাবে, নারীদের সম্মানের জন্য, নিরাপত্তার জন্য, আত্মমর্যাদার জন্য আমি এই নারী নির্যাতকের বিরুদ্ধে লড়বো। আমি একজন নারী, আমি নারীহীন সমাজ চাই না। আমি চাই না, কোনো নারী গোপনে কান্না করুক, বা সমাজের ভয়ে চুপ থাকুক। নারী নির্যাতকের পক্ষে কোনো সহানুভূতি নেই। আমি ন্যায়বিচারের পাশে আছি।

জোবায়ের আজ ইনিয়ে বিনিয়ে আমাকে হুমকি দেওয়ার চেষ্টা করেছে। কিন্তু আপনারা তো আমাকে চেনেন। আমি এসবের পরোয়া করি না, করিনি, করবোও না। সে যা-ই করুক, আমরা তার শাস্তি নিশ্চিত করবো আইনি ভাবে।

আমি একজন নারী হিসাবে, একজন সচেতন নাগরিক হিসাবে ভিক্টিম নারীদের পাশে আছি এবং থাকবো। তাদেরকে আইনের সহযোগিতা, রাজনৈতিক সহযোগিতা এবং পারলে অর্থনৈতিক সহযোগিতা করবো। তাদেরকে হেয় হতে দেবো না, ভয় পেতে দেবো না, একা থাকতে দেবো না।

আইনী সহায়তা থেকে শুরু করে সামাজিক সাপোর্ট সবকিছুতে আমি তাদের পাশে আছি।

আমাদের লড়াই শুধু একজন অপরাধীর বিচারের জন্য নয়, এই লড়াই নারীর সম্মানের জন্য, নিরাপত্তার জন্য,
এই লড়াই ভবিষ্যতের মেয়েদের জন্য যাতে আর কেউ এই অন্যায়ের শিকার না হয়।

ভয় নয়, প্রতিবাদই আমার অস্ত্র।
আর আমরা সবাই মিলে এই অন্যায়কারীর মুখোশ খুলবোই।

Article Image

Published: April 16, 2025

বাংলাদেশের পুরনো ধারার রাজনৈতিক দলগুলো যেভাবে এখন বিপদের মুখে পড়বে

বাংলাদেশের পুরনো ধারার রাজনৈতিক দলগুলো যেভাবে এখন বিপদের মুখে পড়বে

বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে পুরনো ধারার রাজনৈতিক দলগুলো আজ চরম সংকটে। সময়ের সাথে সমাজ বদলেছে, বদলেছে মানুষের চিন্তাভাবনা—কিন্তু এসব দল নিজেদের বদলাতে পারেনি। এ কারণে জনগণের ভেতরে এসব দলের প্রতি বিরক্তি ও ঘৃ*ণা ক্রমশ বেড়েই চলেছে।

প্রথমত, নির্বাচন ঘনিয়ে এলে শুরু হয় মনোনয়ন বাণিজ্য। দলীয় মনোনয়ন পেতে হলে প্রয়োজন হয় মোটা অঙ্কের টাকা—যোগ্যতা, শিক্ষা বা জনসেবার অভিজ্ঞতা এখানে বড় ভূমিকা রাখে না। ফলে টাকার জোরে যাঁরা মনোনয়ন পান, তাঁরা নির্বাচনে গিয়ে খরচ করেন কয়েক গুণ বেশি। এরপর ভোটে জিতলে শুরু হয় সেই টাকার পুঁজি তোলার প্রক্রিয়া।

এই প্রক্রিয়ায় মাঠে নামে চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, জমি দখলসহ নানা অপকর্ম। এলাকা জুড়ে শুরু হয় নেতাদের শোডাউন, প্রভাব খাটানো আর জনসাধারণকে প্রভাবিত করার অপচেষ্টা।

আমি আগেও বলেছি—আজ দেশে যার হাতে মোবাইল আছে, সে-ই একপ্রকার সাংবাদিক। কেউ কিছু করলে, সেটি মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়ে সোশ্যাল মিডিয়ায়। এমনকি কাজের বুয়া, রিকশাচালক, কিংবা ভিক্ষুক—সবার হাতেই এখন স্মার্টফোন। তাই কিছু গোপন রাখা সম্ভব নয়। সিসিটিভি, ইন্টারনেট, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম—সব জায়গাতেই নজরদারি চলছে।

এসবের কারণে দলের নেতাদের অপকর্মের দায় এসে পড়ে পুরো দলের ওপর, দলের মহাসচিবের ওপর, এমনকি দলের প্রতিষ্ঠাতা ও তাঁর পরিবারের ওপরও। এর উদাহরণ আমরা ইতোমধ্যেই দেখেছি।

আগে প্রশাসন, পুলিশ বা আর্মি ব্যবহার করে সাধারণ মানুষকে দমন করা যেত। এখন সেই দিন শেষ। যা-ই করা হোক না কেন, তার প্রমাণ চলে আসে জনসমক্ষে। প্রশাসন এখন অনেক বেশি সতর্ক, তবে দুঃখজনকভাবে দেখা যাচ্ছে—বিগত সময়ের ভয়াবহ অভিজ্ঞতা থেকেও অনেকে শিক্ষা নিচ্ছেন না।

বর্তমানে ক্ষমতায় টিকে থাকতে হলে, সৎ না হয়ে উপায় নেই। কারণ জনগণ এখন অনেক বেশি সচেতন। তারা প্রমাণ করেছে, ক্ষমতা দেখিয়ে জনতাকে দমিয়ে রাখার সময় শেষ হয়ে গেছে।

যদি রাজনীতিকরা নিজেদের না বদলান, তাহলে জনগণ নতুন নেতৃত্ব খুঁজে নেবে—তারা আর ক্যাডার কিংবা টাকার জোরে কাউকে নেতা মানতে রাজি নয়। যারা বলছেন, তারা আবার ফিরে আসবেন—হ্যাঁ, তা সম্ভব, তবে আগের রূপে নয়। ফিরে আসতে হলে বদলে আসতে হবে—ভিন্ন গুণে, ভিন্ন চেহারায়, সৎ নেতৃত্ব নিয়ে।

ওসি প্রদীপ-মেজর সিনহা হত্যা, নারায়ণগঞ্জের সাত খু*ন, চট্টগ্রামের কমিশনার হ ..., ইলিয়াস আলীকে গু...., বেনজীর, হারুন—এদের সবাইকে একসময় বিচারের মুখোমুখি হতে হবে । এসব ঘটনা আমাদের শেখায়, কেউই ছাড় পায় না। আপনি যা করবেন, তার ফল আপনার জন্য অপেক্ষা করছে—শুধু সময়ের ব্যাপার।

যাঁরা ভাবছেন, দল ক্ষমতায় গেলে ঠিকাদারি করবেন, সিন্ডিকেট গড়বেন, অবৈধ ব্যবসা চালাবেন—তাঁদের জন্য সতর্কবার্তা: বদলান, নয়তো পালাতে হবে। দেশ খাওয়ার দিন শেষ, এখন জনগণ আপনাদের খাবে।

অতএব অহেতুক লাফালাফি করবেন না। কিসের লোভে রাজনীতি করছেন? ক্ষমতা কি একমাত্র পেশা? চাকরি করুন, ব্যবসা করুন—সেই পথেও সাফল্য সম্ভব। রাজনীতি করতে হলে সৎ হয়ে করুন, তাহলে জাতি আপনাকে ইতিহাসে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ রাখবে।

আর যদি ভুল করেন, তাহলে একা নয়—গোটা পরিবারকেই ইতিহাসের দায় বইতে হবে।

সততার কোনো বিকল্প নেই।

( বাঙ্গালী সাজে একদল আমেরিকান )

Article Image

Published: April 13, 2025

সম্ভবত ভারত হাসিনাকে প্রত্যর্পণ করবে না: ড. স্মৃতি পট্টনায়েক

সম্ভবত ভারত হাসিনাকে প্রত্যর্পণ করবে না: ড. স্মৃতি পট্টনায়েক

Article Image

Published: April 9, 2025

দায় দিয়ে দ্যাও!

দায় দিয়ে দ্যাও!

Article Image

Published: April 6, 2025

ছাত্রশিবিরের সভাপতি জাহিদুল ইসলামের পেছনে দাড়িয়ে থাকার এই ছবিটি নিয়ে অনেকেই জানতে চেয়েছেন।

ছাত্রশিবিরের সভাপতি জাহিদুল ইসলামের পেছনে দাড়িয়ে থাকার এই ছবিটি নিয়ে অনেকেই জানতে চেয়েছেন।

মূলত ওইদিন দুপুরে মার্চ ফর গাযার দাওয়াতি মেহমান যারা তাদেরকে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কনফারেন্স কক্ষে জমায়েত হওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছিল। সেখানে জাহিদও অতিথি হিসেবেই এসেছিলেন।

আগেই সিদ্ধান্ত ছিলো, অতিথি সবাই গুরুত্বপূর্ণ। সবাইকে বক্তৃতা দিতে দিলে এতবড় সমাবেশ কন্ট্রোল করা কঠিন হবে৷ তাই সবাই মঞ্চে দাঁড়াবেন । সকলের বক্তব্য প্রস্তাবনায় তুলে ধরা হবে একসাথে।

কিন্তু এই যে কাউকেই বক্তব্য দিতে দেওয়া হবেনা, এই সিদ্ধান্ত এবং বিস্তারিত রোডম্যাপ মুফতি আবদুল মালেক হাফি. মাধ্যমে আগেই ঘোষণা দেওয়ার জন্য আবারও সবাইকে জমায়েত করা হয় এখানে ।

জাহিদ বসা ছিলেন। আমি শায়খ আহমাদুল্লাহ সাহেব সহ পেছনে এসে দাড়াই। জাহিদ নিজের সিট থেকে উঠে অনেকটা জোর করেই সেখানে বসিয়ে দেন আমাকে৷

এতবড় একটা সংগঠন, একটা ঐতিহ্যবাহী শহীদী কাফেলার কেন্দ্রীয় সভাপতি অথচ একটুও অহংকার নেই, সব সময় হাস্যোজ্জ্বল চেহারা নিয়ে থাকেন - এটা এই সময়ে আমার নিকট অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

রাজনৈতিক চেয়ার নিয়ে যখন কাড়াকাড়ি ধাক্কাধাক্কি হয় এমনকি প্রেস রিলিজে নাম আগে পরে দেওয়া না দেওয়া নিয়ে খুনোখুনি পর্যন্ত হওয়াটা আমাদের রাজনৈতিক কালচার, সেই সময় এরকম একটা দৃশ্যের সাথে পরিচিত হওয়াটা অবশ্যই তাৎপর্যের দাবি রাখে।

আমরা যে শ্লোগান দেই, এই শতাব্দী হচ্ছে ইসলামের বিজয়ের শতাব্দী - এই বিজয় আসবে এইসব বিনয়ী ও ডেডিকেটেড তরুণদের হাত ধরে ইনশাআল্লাহ।

- বিশিষ্ট লেখক ও গবেষক মাওলানা রুহুল আমিন সাদী

Article Image

Published: March 9, 2025

ছাত্রশিবিরের সভাপতি জাহিদুল ইসলামের পেছনে দাড়িয়ে থাকার এই ছবিটি নিয়ে অনেকেই জানতে চেয়েছেন।

ছাত্রশিবিরের সভাপতি জাহিদুল ইসলামের পেছনে দাড়িয়ে থাকার এই ছবিটি নিয়ে অনেকেই জানতে চেয়েছেন।

মূলত ওইদিন দুপুরে মার্চ ফর গাযার দাওয়াতি মেহমান যারা তাদেরকে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কনফারেন্স কক্ষে জমায়েত হওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছিল। সেখানে জাহিদও অতিথি হিসেবেই এসেছিলেন।

আগেই সিদ্ধান্ত ছিলো, অতিথি সবাই গুরুত্বপূর্ণ। সবাইকে বক্তৃতা দিতে দিলে এতবড় সমাবেশ কন্ট্রোল করা কঠিন হবে৷ তাই সবাই মঞ্চে দাঁড়াবেন । সকলের বক্তব্য প্রস্তাবনায় তুলে ধরা হবে একসাথে।

কিন্তু এই যে কাউকেই বক্তব্য দিতে দেওয়া হবেনা, এই সিদ্ধান্ত এবং বিস্তারিত রোডম্যাপ মুফতি আবদুল মালেক হাফি. মাধ্যমে আগেই ঘোষণা দেওয়ার জন্য আবারও সবাইকে জমায়েত করা হয় এখানে ।

জাহিদ বসা ছিলেন। আমি শায়খ আহমাদুল্লাহ সাহেব সহ পেছনে এসে দাড়াই। জাহিদ নিজের সিট থেকে উঠে অনেকটা জোর করেই সেখানে বসিয়ে দেন আমাকে৷

এতবড় একটা সংগঠন, একটা ঐতিহ্যবাহী শহীদী কাফেলার কেন্দ্রীয় সভাপতি অথচ একটুও অহংকার নেই, সব সময় হাস্যোজ্জ্বল চেহারা নিয়ে থাকেন - এটা এই সময়ে আমার নিকট অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

রাজনৈতিক চেয়ার নিয়ে যখন কাড়াকাড়ি ধাক্কাধাক্কি হয় এমনকি প্রেস রিলিজে নাম আগে পরে দেওয়া না দেওয়া নিয়ে খুনোখুনি পর্যন্ত হওয়াটা আমাদের রাজনৈতিক কালচার, সেই সময় এরকম একটা দৃশ্যের সাথে পরিচিত হওয়াটা অবশ্যই তাৎপর্যের দাবি রাখে।

আমরা যে শ্লোগান দেই, এই শতাব্দী হচ্ছে ইসলামের বিজয়ের শতাব্দী - এই বিজয় আসবে এইসব বিনয়ী ও ডেডিকেটেড তরুণদের হাত ধরে ইনশাআল্লাহ।

- বিশিষ্ট লেখক ও গবেষক মাওলানা রুহুল আমিন সাদী

Article Image

Published: March 9, 2025

পাকিস্তান কঠোরভাবে ভারতের সিন্ধু পানি চুক্তি স্থগিতের ঘোষণা প্রত্যাখ্যান করেছে।

পাকিস্তান কঠোরভাবে ভারতের সিন্ধু পানি চুক্তি স্থগিতের ঘোষণা প্রত্যাখ্যান করেছে। পাকিস্তান বলেছে, এই চুক্তি বিশ্বব্যাংকের মধ্যস্থতায় হওয়া একটি বাধ্যবাধকতামূলক আন্তর্জাতিক চুক্তি, এককভাবে এই চুক্তি স্থগিতের কোনো বিধান নেই। পানি পাকিস্তানের একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় ইস্যু, তা দেশের ২৪ কোটি মানুষের জীবন রক্ষা করে এবং যেকোনো মূল্যে এই পানি পাওয়ার বিষয়টি রক্ষা করা হবে। সিন্ধু চুক্তি অনুযায়ী পাকিস্তান যে পানি পাবে, তার প্রবাহ বন্ধ বা অন্যদিকে নেওয়ার যেকোনো চেষ্টা এবং ভাটি অঞ্চলের অধিকার ক্ষুণ্ন করার চেষ্টা যুদ্ধের শামিল বলে বিবেচনা করা হবে এবং জাতীয় ক্ষমতার সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে পূর্ণ শক্তি ব্যবহার করে এর জবাব দেওয়া হবে। একইসাথে ভারতের বিরুদ্ধে কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছে পাকিস্তান।

*** ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য স্থগিতের ঘোষণা দিয়েছে পাকিস্তান। সেই সঙ্গে পাকিস্তান দিয়ে তৃতীয় কোনো দেশের সঙ্গে ভারতের সব ধরনের বাণিজ্য স্থগিতের ঘোষণাও দিয়েছে ইসলামাবাদ।

*** ভারতের মালিকানাধীন বা ভারত থেকে পরিচালিত সব বিমান পরিবহন সংস্থার জন্য পাকিস্তানের আকাশসীমা বন্ধ করার ঘোষণাও দেওয়া হয়েছে।

*** ইসলামাবাদে ভারতীয় হাইকমিশনে কর্মকর্তার সংখ্যা ৩০–এ নামিয়ে আনতে বলেছে পাকিস্তান। ৩০ এপ্রিলের মধ্যে তা করতে বলা হয়েছে।

*** ইসলামাবাদে ভারতীয় হাইকমিশনে নিযুক্ত দেশটির প্রতিরক্ষা, নৌ ও বিমানবাহিনীর কর্মকর্তাদের অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছে পাকিস্তান। অবিলম্বে তাঁদের পাকিস্তান ছাড়তে বলা হয়েছে। তাঁদের সহায়তায় নিযুক্ত কর্মীদেরও ভারতে ফিরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

*** ভারতীয় নাগরিকদের দেওয়া সব সার্ক ভিসা বাতিল করেছে পাকিস্তান। এই ভিসার আওতায় পাকিস্তানে অবস্থানরত সব ভারতীয় নাগরিককে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দেশটি ছাড়তে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অবশ্য শিখ ধর্মাবলম্বীদের ক্ষেত্রে তা প্রযোজ্য হচ্ছে না।

*** পাকিস্তান অবিলম্বে ওয়াগা সীমান্তচৌকি বন্ধ করছে। দেশটি বলেছে, এই পথ দিয়ে ভারত থেকে সব ধরনের চলাচল বন্ধ থাকবে। বৈধভাবে যাঁরা এই পথ দিয়ে পাকিস্তানে প্রবেশ করেছেন, তাঁরা অবিলম্বে এখান দিয়ে ফেরত যেতে পারবেন। তবে ৩০ এপ্রিলের পর এ সুযোগ দেওয়া হবে না।

উল্লেখ্য, গতকাল সিন্ধু পানি চুক্তি স্থগিতসহ পাকিস্তানের বিরুদ্ধে পাঁচটি পদক্ষেপ নিয়েছিল ভারত। আজ পাকিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তা কমিটির (এনএসসি) বৈঠকে তার পাল্টায় এই সিদ্ধান্তগুলো নেওয়া হয়েছে।

Admin: Imran Hossain Ontor

Article Image

Published: December 31, 2024

চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জের ছাত্র ভাইয়েরা।

চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জের ছাত্র ভাইয়েরা।

#NupurSharama
#StandwithIndianMuslim
#ProphetMuhammad

Published: June 7, 2021

কুমিল্লার মুরাদনগরের ছাত্রজনতা।

কুমিল্লার মুরাদনগরের ছাত্রজনতা।

#ProphetMuhammadPBUH
#OurProphetOurHonour
#Boycott_Indian_products
#boycottindianculture
#StandwithIndianMuslim

Published: May 8, 2021

Black Day

Black Day
#onthisday
Copyright Warning-

All content is protected under copyright law.

Unauthorized use, reproduction, or distribution of any material without explicit permission is strictly prohibited and will result in legal action.

All rights reserved.

Copyright Owner- Imran Hossain Ontor

Published: March 9, 2021

আজ বিক্ষোভে নেমেছিল ঢাকার ডেমরার সামসুল হক খান স্কুল

আজ বিক্ষোভে নেমেছিল ঢাকার ডেমরার সামসুল হক খান স্কুল অ্যান্ড কলেজ এর শিক্ষার্থীরা।

#NupurSharama
#StandwithIndianMuslim
#ProphetMuhammad

Published: February 8, 2021

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ, ময়মনসিংহ।

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ, ময়মনসিংহ।

#ProphetMuhammad
#OurProphetOurHonour
#Boycott_Indian_products
#boycottindianculture
#StandwithIndianMuslim

Published: January 9, 2021

খুব মিস করি 🥲 Imran Hossain Ontor

খুব মিস করি 🥲

Copyright Warning-

All content is protected under copyright law.

Unauthorized use, reproduction, or distribution of any material without explicit permission is strictly prohibited and will result in legal action.

All rights reserved.

Copyright Owner- Imran Hossain Ontor

Published: December 9, 2020